সম্পাদকীয়: হিমেল পরশ আমাদের এ বঙ্গ ষড় ঋতুর দেশ হলেও অনেকেই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। ঋতু রঙ্গের বঙ্গ আর বলা যাচ্ছে কই! শরৎ-হেমন্...
সম্পাদকীয়:
হিমেল পরশ
আমাদের এ বঙ্গ ষড় ঋতুর দেশ হলেও অনেকেই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। ঋতু রঙ্গের বঙ্গ আর বলা যাচ্ছে কই! শরৎ-হেমন্তের দেখা মেলা ভার! বছরের বেশিরভাগ সময় দখল করে নিয়েছে গ্রীষ্মকাল। বাকি পাঁচ ঋতুতে মিলেও গ্রীষ্মের সমকক্ষ হচ্ছে না।
প্রকৃতির এই পরিবর্তন নানান সমস্যার সৃষ্টি করছে। যেমন আমাদের রাজ্যে অতিরিক্ত বর্ষার ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। মানুষের বসবাসের জন্যে যে পৃথিবী গঠিত হল আগমীতে মানুষের অতিরিক্ত আরাম প্রিয়তা এবং ভোগবাদী নীতির কারণেই ধ্বংসের স্তুপে পরিনত হবে না তো! এমনই আশঙ্কা অনেকেই।
এবছর শীত আসতে একটু দেরী করলেও অবশেষে এল। হিমেল পরশে চামড়ায় টানের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরের হালকা হাওয়ায় হিমালয়ের বরফ ছোঁয়ানো স্পর্শ্ব জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। এই শীত আসলে রকমারি সব্জীতে ভরে ওঠে চাষীর আঙ্গিনা। চারিদিকে ছেলে-বুড়োরা মেতে ওঠে বনভোজনের আনন্দে। কখনও কখনও মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ বিপদের কারণ হয়। উত্তরে হাওয়ার ঠান্ডা পরশে গরম গরম মচমচে চপের গন্ধ জিহ্বায় জল আনে। আমাদের এখানে ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় শীতকাল। তাই তো পার্ক ও পিকনিক গার্ডেন গুলো সেজে ওঠে অথিতির আগমনের সংবাদে।
একটা প্রবাদ আছে 'কারো সর্বনাশ, কারো পৌষ মাস'। এই শীতের পরশ কেউ উপভোগ করে আর কেউ শীতে কষ্টকর দিনযাপন করে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষেরা।
ভালো-মন্দে সবকিছু মিলিয়ে হিমেল পরশে একটা একটা করে নতুন দিন পার হয়ে জীবন থেকে ঝরে যাবে কিছুটা সময়। এই সময় প্রত্যয় সকলের চলার পথের প্রেরণা হয়ে থাক। শত ব্যস্ততার মাঝে যদি একটু অবকাশে চিন্তার ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় প্রত্যয়ের সাথে, তবেই তো প্রত্যয়ের চলা সার্থক হবে।
প্রকৃতির এই পরিবর্তন নানান সমস্যার সৃষ্টি করছে। যেমন আমাদের রাজ্যে অতিরিক্ত বর্ষার ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। মানুষের বসবাসের জন্যে যে পৃথিবী গঠিত হল আগমীতে মানুষের অতিরিক্ত আরাম প্রিয়তা এবং ভোগবাদী নীতির কারণেই ধ্বংসের স্তুপে পরিনত হবে না তো! এমনই আশঙ্কা অনেকেই।
এবছর শীত আসতে একটু দেরী করলেও অবশেষে এল। হিমেল পরশে চামড়ায় টানের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরের হালকা হাওয়ায় হিমালয়ের বরফ ছোঁয়ানো স্পর্শ্ব জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। এই শীত আসলে রকমারি সব্জীতে ভরে ওঠে চাষীর আঙ্গিনা। চারিদিকে ছেলে-বুড়োরা মেতে ওঠে বনভোজনের আনন্দে। কখনও কখনও মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ বিপদের কারণ হয়। উত্তরে হাওয়ার ঠান্ডা পরশে গরম গরম মচমচে চপের গন্ধ জিহ্বায় জল আনে। আমাদের এখানে ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় শীতকাল। তাই তো পার্ক ও পিকনিক গার্ডেন গুলো সেজে ওঠে অথিতির আগমনের সংবাদে।
একটা প্রবাদ আছে 'কারো সর্বনাশ, কারো পৌষ মাস'। এই শীতের পরশ কেউ উপভোগ করে আর কেউ শীতে কষ্টকর দিনযাপন করে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষেরা।
ভালো-মন্দে সবকিছু মিলিয়ে হিমেল পরশে একটা একটা করে নতুন দিন পার হয়ে জীবন থেকে ঝরে যাবে কিছুটা সময়। এই সময় প্রত্যয় সকলের চলার পথের প্রেরণা হয়ে থাক। শত ব্যস্ততার মাঝে যদি একটু অবকাশে চিন্তার ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় প্রত্যয়ের সাথে, তবেই তো প্রত্যয়ের চলা সার্থক হবে।
(নভেম্বর, ২০১৭)