রম্যরচনা: চম্পু কাকুর নারী অধিকার ■ জসীমুদ্দিন আক্তার ■ কথা হচ্ছিলো চম্পু কাকুর সঙ্গে, কি বিষয় নিয়ে তাই তো? হ্যাঁ, সেই নার...
রম্যরচনা:
চম্পু কাকুর নারী অধিকার
■ জসীমুদ্দিন আক্তার ■
কথা হচ্ছিলো চম্পু কাকুর সঙ্গে, কি বিষয় নিয়ে তাই তো? হ্যাঁ, সেই নারীর অধিকার নিয়ে, সেখান থেকে তালাক। সে অনেক কথা, একটি তো জানাই!
চম্পু কাকু জানালেন যাক মুসলিম মেয়েরা একটু বাঁচলো! তালাক দিয়ে খুব অত্যাচার করা হচ্ছিলো তাদের প্রতি।
আমি বললাম কাকু, একটি প্রশ্ন করতে পারি কি! কাকু (চম্পু কাক) কপাল কুঁচকে সম্মতি দিলো,
-কেনো নয় অবশ্যই।
-কাকু, এতো বিষয় থাকতে হঠাৎ তালাক প্রসঙ্গে প্রবেশ করলেন কেনো? কথা হচ্ছে মানবতা নিয়ে আরো অন্য কথা হতে তো পারতো!
-হ্যাঁ হ্যাঁ তা ঠিক, শোন খোকা।
-শুনছি কাকু।
-মায়ে জাতির প্রতি দয়া সবার বেশি থাকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নারী সংক্রান্ত প্রশ্ন সবার আগে উঠে আসে আলোচনায়। আর আমি সব সময় নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলি, নারী জাতির প্রতি আমার দয়া একটু বেশি কেনো জানো তার কারণ আছে।
-কারণ থাক কাকু, আপনার দয়া বেশি এটা বুঝলাম ।
আবার অনুমতি চাই, একটি প্রশ্ন করতে পারি?
-আরে বার বার এক কথা কেনো বলো, কি প্রশ্ন তাই বল দেখি?
-আমাদের দেশের পতিতালয়ের নারীদের প্রতি আপনার দয়া হয় না?
-কেনো! দয়ার কি আছে, তারা তো ভালোই আছে! আরে ওদের এভাবে অসম্মান করো না ওরা জাতির সেবা করে যাচ্ছ এটা কি তুমি জানো?
-কি সেবা কাকু?
-আরে যুবকদের জ্বালাতে মা-বোনেরা বাইরে বার হতে পারতো না, ওরা আছে তাই বাঁচোয়া!
তোমারা আসলে এগুলো বন্ধের পক্ষে, জানো এগুলো বন্ধ হলে কতো সমস্যা হবে?
আমি বললাম, কাকু আপনি তো প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু মানে না। তবে কেন আপনি নিজে ধারণা করে মন্তব্য করছেন কোন প্রমাণ ছাড়া! আমাকে কেনো মানতে হবে আপনার কাল্পনিক সমস্যা! আগে বন্ধ হোক। সমস্যার প্রমাণ আসুক কথা হবে। প্রমাণ ছাড়া আমি আপনার কাল্পনিক সমস্যা কথা মানবো কেনো! এটা আপনার নীতির কথা, আমি আপনার উপর প্রয়োগ করলাম। তো কাকু " মা বোনেরা বাইরে বার হতে পারতো না! " ওরা আছে তাই! ওরা মা-বোন নয় কাকু? মা বোনদের শরীরটা অমূল্য সম্পদ। ওদের টা খুব সস্তা, তাই কি! মা-বোন আর 'ওরা' কেনো এই বিভাজন?
এবার তো কাকুর চোখ গরম ( কাকু ভেবেই নিয়েছে এবার প্যাঁচ দেবে ভাইপো আমাকে। প্যাঁচ তো খাবেনই তাই আবার একটি অন্য প্রশ্নে গেলাম।) আচ্ছা কাকু ওরা সেবা করে তাই না, আপনিই বললেন কিন্তু একটু আগে?
-হ্যাঁ বলেছি!
-কাকু, ওরা তো জাতির সেবা করছে বহু দিন থেকে। আপনার মেয়ে আছে, স্ত্রী আছে, বোনও আছে। তাদের দ্বারা একটু জাতি সেবা করালে হতনা! দেশের সেবাতে তাদেও একটু এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
কাকু তো রেগে লাল হয়েগেছে। চেহারা দিয়ে যেন আগুন বার হচ্ছে কিছু না বলে চুপ করে শুধু শুনছে।
এবার কাকুর উত্তর, আমার মেয়ে, স্ত্রী, বোনের কথা কেনো?
-না মানে আপনি সেবার কথা বললেন, তাই যদি আপনার মেয়ে-স্ত্রী-বোন তারাও যদি সেবায় এগিয়ে আসে, কারণ সেবা করতে পারলে মানুষ নিজেকে ধন্য মনে করে তাই বললাম।
নিরুপায় কাকু জানালেন, না সেটা তাদের ব্যাপার তারা করবে কি না!
-তাদের ব্যাপার তো বটেই কাকু, আপনি যদি প্রস্তাবটা দেন তাদেরকে।
-কেনো কেনো আমি প্রস্তাব দিতে যাবো কেনো?
-আপনি প্রস্তাব দিলে অসুবিধা কোথায়? সমাজে সেবার কাজ করবে, তো প্রস্তাব দিতে আপত্তি কেনো? বেশি দিন নয় এক মাস রাজি হলে-ই চলবে। আমি আপনার মতো নীতির মানুষ হলে বলতাম অবশ্যই।
চম্পু কাকু বললেন, না আমি তাদের এ প্রস্তাব দিতে পারবো না। তুমি কিন্তু ভদ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো?
আমি বললাম কাকু ভদ্রতার সীমা নিয়েও কথা হবে। আগে একটা করে সমাপ্ত হোক তার পর অন্য বিষয় আসবো।
(কাকু এবারও চুপ করে আছেন)
আমি আবারও বললাম কাকু, আপনি বলুন বাড়িতে। রাজি হলে জানাবেন, যদি না হয় তাও জানাবেন কারণ সহ।
আসি খোকা কাজ আছে।
কাকু বিদায় কোন দিন মনে থাকলে আর নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবে না।
চম্পু কাকু জানালেন যাক মুসলিম মেয়েরা একটু বাঁচলো! তালাক দিয়ে খুব অত্যাচার করা হচ্ছিলো তাদের প্রতি।
আমি বললাম কাকু, একটি প্রশ্ন করতে পারি কি! কাকু (চম্পু কাক) কপাল কুঁচকে সম্মতি দিলো,
-কেনো নয় অবশ্যই।
-কাকু, এতো বিষয় থাকতে হঠাৎ তালাক প্রসঙ্গে প্রবেশ করলেন কেনো? কথা হচ্ছে মানবতা নিয়ে আরো অন্য কথা হতে তো পারতো!
-হ্যাঁ হ্যাঁ তা ঠিক, শোন খোকা।
-শুনছি কাকু।
-মায়ে জাতির প্রতি দয়া সবার বেশি থাকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নারী সংক্রান্ত প্রশ্ন সবার আগে উঠে আসে আলোচনায়। আর আমি সব সময় নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলি, নারী জাতির প্রতি আমার দয়া একটু বেশি কেনো জানো তার কারণ আছে।
-কারণ থাক কাকু, আপনার দয়া বেশি এটা বুঝলাম ।
আবার অনুমতি চাই, একটি প্রশ্ন করতে পারি?
-আরে বার বার এক কথা কেনো বলো, কি প্রশ্ন তাই বল দেখি?
-আমাদের দেশের পতিতালয়ের নারীদের প্রতি আপনার দয়া হয় না?
-কেনো! দয়ার কি আছে, তারা তো ভালোই আছে! আরে ওদের এভাবে অসম্মান করো না ওরা জাতির সেবা করে যাচ্ছ এটা কি তুমি জানো?
-কি সেবা কাকু?
-আরে যুবকদের জ্বালাতে মা-বোনেরা বাইরে বার হতে পারতো না, ওরা আছে তাই বাঁচোয়া!
তোমারা আসলে এগুলো বন্ধের পক্ষে, জানো এগুলো বন্ধ হলে কতো সমস্যা হবে?
আমি বললাম, কাকু আপনি তো প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু মানে না। তবে কেন আপনি নিজে ধারণা করে মন্তব্য করছেন কোন প্রমাণ ছাড়া! আমাকে কেনো মানতে হবে আপনার কাল্পনিক সমস্যা! আগে বন্ধ হোক। সমস্যার প্রমাণ আসুক কথা হবে। প্রমাণ ছাড়া আমি আপনার কাল্পনিক সমস্যা কথা মানবো কেনো! এটা আপনার নীতির কথা, আমি আপনার উপর প্রয়োগ করলাম। তো কাকু " মা বোনেরা বাইরে বার হতে পারতো না! " ওরা আছে তাই! ওরা মা-বোন নয় কাকু? মা বোনদের শরীরটা অমূল্য সম্পদ। ওদের টা খুব সস্তা, তাই কি! মা-বোন আর 'ওরা' কেনো এই বিভাজন?
এবার তো কাকুর চোখ গরম ( কাকু ভেবেই নিয়েছে এবার প্যাঁচ দেবে ভাইপো আমাকে। প্যাঁচ তো খাবেনই তাই আবার একটি অন্য প্রশ্নে গেলাম।) আচ্ছা কাকু ওরা সেবা করে তাই না, আপনিই বললেন কিন্তু একটু আগে?
-হ্যাঁ বলেছি!
-কাকু, ওরা তো জাতির সেবা করছে বহু দিন থেকে। আপনার মেয়ে আছে, স্ত্রী আছে, বোনও আছে। তাদের দ্বারা একটু জাতি সেবা করালে হতনা! দেশের সেবাতে তাদেও একটু এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
কাকু তো রেগে লাল হয়েগেছে। চেহারা দিয়ে যেন আগুন বার হচ্ছে কিছু না বলে চুপ করে শুধু শুনছে।
এবার কাকুর উত্তর, আমার মেয়ে, স্ত্রী, বোনের কথা কেনো?
-না মানে আপনি সেবার কথা বললেন, তাই যদি আপনার মেয়ে-স্ত্রী-বোন তারাও যদি সেবায় এগিয়ে আসে, কারণ সেবা করতে পারলে মানুষ নিজেকে ধন্য মনে করে তাই বললাম।
নিরুপায় কাকু জানালেন, না সেটা তাদের ব্যাপার তারা করবে কি না!
-তাদের ব্যাপার তো বটেই কাকু, আপনি যদি প্রস্তাবটা দেন তাদেরকে।
-কেনো কেনো আমি প্রস্তাব দিতে যাবো কেনো?
-আপনি প্রস্তাব দিলে অসুবিধা কোথায়? সমাজে সেবার কাজ করবে, তো প্রস্তাব দিতে আপত্তি কেনো? বেশি দিন নয় এক মাস রাজি হলে-ই চলবে। আমি আপনার মতো নীতির মানুষ হলে বলতাম অবশ্যই।
চম্পু কাকু বললেন, না আমি তাদের এ প্রস্তাব দিতে পারবো না। তুমি কিন্তু ভদ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো?
আমি বললাম কাকু ভদ্রতার সীমা নিয়েও কথা হবে। আগে একটা করে সমাপ্ত হোক তার পর অন্য বিষয় আসবো।
(কাকু এবারও চুপ করে আছেন)
আমি আবারও বললাম কাকু, আপনি বলুন বাড়িতে। রাজি হলে জানাবেন, যদি না হয় তাও জানাবেন কারণ সহ।
আসি খোকা কাজ আছে।
কাকু বিদায় কোন দিন মনে থাকলে আর নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবে না।
■◆●◆■
COMMENTS