নিবন্ধ : সমাজ ও জীবন সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার একমাত্র এবং বিকল্প পথ হল রাজনৈতিক ক্ষমতা ■ রাকিবুল ই...
নিবন্ধ: সমাজ ও জীবন
সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার একমাত্র এবং বিকল্প পথ হল রাজনৈতিক ক্ষমতা
■ রাকিবুল ইসলাম ■
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ দেশই পরিচালিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতির স্বচ্ছতা বা নিরোপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। বিশেষত এই দশকে অনেকগুলো দেশের শাসক গণতন্ত্রের হাত ধরে ক্ষমতায় প্রবেশ করারপর অনেকক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমার আলোচনার বিষয় শাসন ক্ষমতা দিয়ে যেমন জনগণকে শোষণ করা যায়, তেমনই শাসন ক্ষমতা ব্যতিত কোন ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব, যখন কোন দেশ ভালো শাসক পেয়েছে তখন জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয় হয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের একজন আর একজনের পাশে দাঁড়িয়েছে। পরস্পর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, এখানে সুশাসক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। অপরপক্ষে, কুশাসকের ভূমিকা ছিল জনবিরোধী। গণতন্ত্র (ধরে নিচ্ছি গণতন্ত্র অবাদ-সু্ষ্ঠু-নিরোপেক্ষ) আসার ফলে জনগণ সুযোগ পেল তাদের শাসক নির্বাচনের। জনগণের মত প্রতিফলনের একমাত্র ক্ষেত্র বলে বিবেচিত হল ব্যালট পেপার বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেসিন (ইভিএম) (এখানেও ধরে নিচ্ছি কোন কারচুপি নেই)। এখন বেশির ভাগ জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক তেমন শাসক তাদের মাথার উপর চেপে বসবে। সেই শাসকের নাক গলানোর অধিকার থাকে সর্বত্র। এই সমাজের সকল ব্যাপারে তা সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় যে কোন বিষয় হোক না কেন শাসকের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকে। শাসক সকল ব্যাপারে মত দিতে পারে, সে যা বলবে সেটাই শেষ কথা। শাসক তার ইচ্ছামত শিক্ষার সিলেবাস তৈরী করতে পারে। চাইলে ইতিহাসেও হাত দিতে পারে। অতাএব তার কাছে সব কিছুই সহজ এবং সম্ভব হয়, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
প্রসঙ্গত, এই রাজনীতির আঙিনায় কোন শ্রেণির লোক আসতে পারে এটা নিয়ে জনমানুষের একটা কথা চালু আছে। অনেকে বলেন সৎ লোক এবং ধার্মিক লোকদের রাজনীতিতে যাওয়া উচিত নয়। আমার প্রশ্ন রাজনীতিতে তাহলে যাওয়া উচিত এলাকার গুন্ডা-মস্তান-লম্পট লোকগুলোর? ওরা ক্ষমতায় গিয়ে তো সামাজিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক সকল ব্যপারে নীতিমালা প্রস্তুত করবে আর সৎ মানুষেরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবে, ---এটাই কী ধর্মের শিক্ষা? রাজনৈতিক দলগুলির যদি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে না আটকায়, তবে ধার্মিক ব্যাক্তিদের রাজনীতিতে আসতে বাঁধা কোথায়?
বর্তমানে রাজনীতি একটা চর্চার বিষয়। এটাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করছে; তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন সৎ লোকের প্রবেশ ঘটুক তারা তা চায় না। আর কিছু মানুষ সৎ হয়ে ঘরে বসে বলবে রাজনীতি আলাদা, ধর্ম আলাদা, সমাজ আলাদা, জীবন আলাদা আর আলাদা আলাদা করতে করতে সব বাদ চলে যাবে, শুধুমাত্র পড়ে থাকবে সীমাহীন ব্যর্থতা। আমরা দেখতে পাই অতীতের যত সৎ মানুষ মানবতাকে প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম করেগেছেন তাদের দ্বন্দ্ব হয়েছে সমকালীন সমাজের প্রভাবশালী ব্যাক্তি বা শাসকদের সঙ্গে। তারা যদি ধর্মীয় বিষয়টাকে যদি বাহ্যিক কতগুলো নিয়মের মধ্যে আর পোশাকের মধ্যে (যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় ব্যাক্তিরা নিজেদের আলাদাভাবে প্রকাশ করে) তাহলে শাসক বা সমকালীন সময়ের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের দ্বারা অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতনের মুখে পড়তে হত না। মানবতার সর্বশ্রেষ্ট পথপ্রদর্শক নবী মুহাম্মদ (সঃ) মদিনা নামক একটা শহরে জনসমর্থন নিয়ে শাসন ক্ষমতা হাতে নিয়ে একটা আধুনিক উন্নত নিরোপেক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর বিখ্যাত অনুসারীরা গোটা পৃথিবীর অর্ধেক ভূখন্ডে সৎ মানুষের শাসন উপহার দিয়েছিল ।
সব কিছু আমাদের সামনে থাকার পর শুধুমাত্র ভিতরের কোন ভয়ে যেন আমরা রাজনীতি সম্পর্কে একটু পিছিয়ে চলি আর নিজের মনগড়া উক্তি করি, আর বলি, 'এ যুগে রাজনীতি আর ধর্ম আলাদা'। ন্যায় প্রতিষ্ঠার উপকরণ যাদের হাতে আছে, আর আজ তারা যদি শুধু ভাগ্যের হাতে নিজেকে সপে দিয়ে নদীর বুকে ভাসমান শৈবালের মত ভেসে যায়, তাহলে এই জাতির কপালে কঠিন পরিনাম অপেক্ষা করছে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব, যখন কোন দেশ ভালো শাসক পেয়েছে তখন জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয় হয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের একজন আর একজনের পাশে দাঁড়িয়েছে। পরস্পর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, এখানে সুশাসক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। অপরপক্ষে, কুশাসকের ভূমিকা ছিল জনবিরোধী। গণতন্ত্র (ধরে নিচ্ছি গণতন্ত্র অবাদ-সু্ষ্ঠু-নিরোপেক্ষ) আসার ফলে জনগণ সুযোগ পেল তাদের শাসক নির্বাচনের। জনগণের মত প্রতিফলনের একমাত্র ক্ষেত্র বলে বিবেচিত হল ব্যালট পেপার বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেসিন (ইভিএম) (এখানেও ধরে নিচ্ছি কোন কারচুপি নেই)। এখন বেশির ভাগ জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক তেমন শাসক তাদের মাথার উপর চেপে বসবে। সেই শাসকের নাক গলানোর অধিকার থাকে সর্বত্র। এই সমাজের সকল ব্যাপারে তা সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় যে কোন বিষয় হোক না কেন শাসকের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকে। শাসক সকল ব্যাপারে মত দিতে পারে, সে যা বলবে সেটাই শেষ কথা। শাসক তার ইচ্ছামত শিক্ষার সিলেবাস তৈরী করতে পারে। চাইলে ইতিহাসেও হাত দিতে পারে। অতাএব তার কাছে সব কিছুই সহজ এবং সম্ভব হয়, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
প্রসঙ্গত, এই রাজনীতির আঙিনায় কোন শ্রেণির লোক আসতে পারে এটা নিয়ে জনমানুষের একটা কথা চালু আছে। অনেকে বলেন সৎ লোক এবং ধার্মিক লোকদের রাজনীতিতে যাওয়া উচিত নয়। আমার প্রশ্ন রাজনীতিতে তাহলে যাওয়া উচিত এলাকার গুন্ডা-মস্তান-লম্পট লোকগুলোর? ওরা ক্ষমতায় গিয়ে তো সামাজিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক সকল ব্যপারে নীতিমালা প্রস্তুত করবে আর সৎ মানুষেরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবে, ---এটাই কী ধর্মের শিক্ষা? রাজনৈতিক দলগুলির যদি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে না আটকায়, তবে ধার্মিক ব্যাক্তিদের রাজনীতিতে আসতে বাঁধা কোথায়?
বর্তমানে রাজনীতি একটা চর্চার বিষয়। এটাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করছে; তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন সৎ লোকের প্রবেশ ঘটুক তারা তা চায় না। আর কিছু মানুষ সৎ হয়ে ঘরে বসে বলবে রাজনীতি আলাদা, ধর্ম আলাদা, সমাজ আলাদা, জীবন আলাদা আর আলাদা আলাদা করতে করতে সব বাদ চলে যাবে, শুধুমাত্র পড়ে থাকবে সীমাহীন ব্যর্থতা। আমরা দেখতে পাই অতীতের যত সৎ মানুষ মানবতাকে প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম করেগেছেন তাদের দ্বন্দ্ব হয়েছে সমকালীন সমাজের প্রভাবশালী ব্যাক্তি বা শাসকদের সঙ্গে। তারা যদি ধর্মীয় বিষয়টাকে যদি বাহ্যিক কতগুলো নিয়মের মধ্যে আর পোশাকের মধ্যে (যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় ব্যাক্তিরা নিজেদের আলাদাভাবে প্রকাশ করে) তাহলে শাসক বা সমকালীন সময়ের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের দ্বারা অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতনের মুখে পড়তে হত না। মানবতার সর্বশ্রেষ্ট পথপ্রদর্শক নবী মুহাম্মদ (সঃ) মদিনা নামক একটা শহরে জনসমর্থন নিয়ে শাসন ক্ষমতা হাতে নিয়ে একটা আধুনিক উন্নত নিরোপেক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর বিখ্যাত অনুসারীরা গোটা পৃথিবীর অর্ধেক ভূখন্ডে সৎ মানুষের শাসন উপহার দিয়েছিল ।
সব কিছু আমাদের সামনে থাকার পর শুধুমাত্র ভিতরের কোন ভয়ে যেন আমরা রাজনীতি সম্পর্কে একটু পিছিয়ে চলি আর নিজের মনগড়া উক্তি করি, আর বলি, 'এ যুগে রাজনীতি আর ধর্ম আলাদা'। ন্যায় প্রতিষ্ঠার উপকরণ যাদের হাতে আছে, আর আজ তারা যদি শুধু ভাগ্যের হাতে নিজেকে সপে দিয়ে নদীর বুকে ভাসমান শৈবালের মত ভেসে যায়, তাহলে এই জাতির কপালে কঠিন পরিনাম অপেক্ষা করছে।
COMMENTS