সম্পাদকীয়: নিরাপত্তাহীনতায় গোটা সমাজ সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারী স্কুলের ফুলের মত শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক...
সম্পাদকীয়:
নিরাপত্তাহীনতায় গোটা সমাজ
সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারী স্কুলের ফুলের মত শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একটা চার, পাঁচ কিংবা ছয়, সাত বছরের শিশু কারো বিকৃত মানসিকতার স্বীকার হচ্ছে ভাবলেই আতঙ্কে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়। আমরা বছরে এমন কছু সংবাদ পায় যেখানে খুব অল্প বয়সী শিশুদের যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে। এই প্রবণতা সভ্যতা অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। একটা সমাজের দিশা দেখায় শিক্ষক সম্প্রদায়, কিন্তু তাদের কাছে নিষ্পাপ ফুলের কুড়ির ন্যায় শিশু গুলো নিরাপদ নয়! যাদেরকে এই সমাজ গড়ার কারিগর বলা হয় আজ তাদের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসে তখন বিবেকবান মানুষেরা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কারণ শিশুরা অন্তত এ ব্যপারে মিথ্যা বলতে পারে না। মানবতার এ লজ্জা রাখবার জায়গা কোথায়?
এইদেশ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক। কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাচে সংখ্যালঘু কেন্দ্র সরকার ক্ষমতা চালাচ্ছে। কারণ তাদের জনসমর্থন ৩১%, আর তাদের বিপক্ষের জনসমর্থন ৬৯%। আমাদের দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এমন ৬৯% সমর্থন বিপক্ষে থাকলেও সেটা বিভিন্নভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটে। যাক সেটা স্বাধীনতার সময় থেকে এভাবেই চলে আসছে। যে কথা বলার এই সরকারের দায়িত্ব ছিল সকল জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সরকারের পরিকল্পনা কোন এক বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর বিলোপ ঘটানোর গোপন এজেন্ডা বারবার প্রকাশ হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক রাজেস্থানের ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল একটা মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল আর সরকারের নূন্যতম কোন বিবৃতি প্রকাশ্যে এল না। এটাই প্রথম তা বলা যাবে না। এর আগে উত্তর প্রদেশের আখলাক, জুনায়েদ, সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ প্রমুখ। কে নিরাপত্তা দেবে? যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে, দুদিন পরে হয় সে গায়েব হয়ে যাবে, না হয় বিভিন্ন অজুহাতে গয়েন্দা লেলিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে প্রতিবাদী কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। গণতন্ত্র শুধুমাত্র নামে বেঁচে আছে! নিরাপত্তাহীন এই সমাজ ধীরে ধীরে একটা অন্ধকার গহ্বরের দিকে এগিয়ে চলেছে সমাজ পরিচালকদের অসদাচরণের কারণে।
এইদেশ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক। কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাচে সংখ্যালঘু কেন্দ্র সরকার ক্ষমতা চালাচ্ছে। কারণ তাদের জনসমর্থন ৩১%, আর তাদের বিপক্ষের জনসমর্থন ৬৯%। আমাদের দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এমন ৬৯% সমর্থন বিপক্ষে থাকলেও সেটা বিভিন্নভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটে। যাক সেটা স্বাধীনতার সময় থেকে এভাবেই চলে আসছে। যে কথা বলার এই সরকারের দায়িত্ব ছিল সকল জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সরকারের পরিকল্পনা কোন এক বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর বিলোপ ঘটানোর গোপন এজেন্ডা বারবার প্রকাশ হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক রাজেস্থানের ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল একটা মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল আর সরকারের নূন্যতম কোন বিবৃতি প্রকাশ্যে এল না। এটাই প্রথম তা বলা যাবে না। এর আগে উত্তর প্রদেশের আখলাক, জুনায়েদ, সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ প্রমুখ। কে নিরাপত্তা দেবে? যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে, দুদিন পরে হয় সে গায়েব হয়ে যাবে, না হয় বিভিন্ন অজুহাতে গয়েন্দা লেলিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে প্রতিবাদী কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। গণতন্ত্র শুধুমাত্র নামে বেঁচে আছে! নিরাপত্তাহীন এই সমাজ ধীরে ধীরে একটা অন্ধকার গহ্বরের দিকে এগিয়ে চলেছে সমাজ পরিচালকদের অসদাচরণের কারণে।
(ডিসেম্বর, ২০১৭)