পুস্তক সমালোচনা: 'কারকারের হত্যাকারী কে?' লিখেছেন: একরামূল হক শেখ 'কারকারের হত্যাকারী কে?' ...
লিখেছেন: একরামূল হক শেখ
'কারকারের হত্যাকারী কে?'
'Who Killed Karkare? The Real Face of Terrorism in India' নামের ইংরেজি বইয়ের লেখক এস এম মুসরিফ মহারাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার ছিলেন । তিনি প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পোলিশ।ওই রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০০৫ সালে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী দমন স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারের হত্যাকাণ্ড, আজমল কাসভ এবং আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন আইজি এস এম মুশরিফ। যিনি ‘হু কিল্ড হেমন্ত কারকারে’ এবং ‘২৬/১১ তদন্ত : বিচারব্যবস্থাও কেন ব্যর্থ হল?’ শীর্ষক দু’টি বই লিখে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছেন।
মৌলালি যুব কেন্দ্রে সোমবার এক আলোচনাসভায় মুশরিফ তাঁর ওই দু’টি বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয় বক্তৃতায় ব্যাখ্যা করেন। আইবি এবং আরএসএসের যোগসাজশে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে বহু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। কারকারেও আইবি এবং আরএসএসের চক্রান্তের বলি হয়েছেন। ব্যালেস্টিক রিপোর্ট বলছে, যে বুলেটে কারকারের মৃত্যু হয়েছিল, তা আজমল কাসভের বন্দুক থেকে বেরোয়নি। আফজলের ফাঁসির রায়ে লেখা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে জনগণের বিবেককে তুষ্ট করার জন্য তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।মুশরিফের দাবি, কারকারে আইবি-র কথা না মেনে আইন অনুযায়ী মালেগাঁও-কাণ্ডের তদন্ত করেন এবং তাতেই একের পর এক আরএসএসের নেতা-কর্মীদের নাম উঠে আসে। কারকারে তাঁদের গ্রেফতারও করেন। এরই প্রতিশোধ নিতে ২৬/১১-র হামলায় চক্রান্ত করে আরএসএস এবং আইবি কারকারেকে হত্যা করে। ( আনন্দবাজার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের বাংলায় অনুবাদ করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। এবং এধরনের বইয়ের অনুবাদ ও প্রকাশ করে জাতীয় কর্তব্য ও গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন কলেজ স্ট্রিটের অভিজাত বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশন। একজন পাঠক হিসেবে অনুবাদক ও প্রকাশক উভয়কেই জানাই হাজারো কুর্নিশ।
মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী দমন স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারের হত্যাকাণ্ড, আজমল কাসভ এবং আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন আইজি এস এম মুশরিফ। যিনি ‘হু কিল্ড হেমন্ত কারকারে’ এবং ‘২৬/১১ তদন্ত : বিচারব্যবস্থাও কেন ব্যর্থ হল?’ শীর্ষক দু’টি বই লিখে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছেন।
মৌলালি যুব কেন্দ্রে সোমবার এক আলোচনাসভায় মুশরিফ তাঁর ওই দু’টি বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয় বক্তৃতায় ব্যাখ্যা করেন। আইবি এবং আরএসএসের যোগসাজশে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে বহু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। কারকারেও আইবি এবং আরএসএসের চক্রান্তের বলি হয়েছেন। ব্যালেস্টিক রিপোর্ট বলছে, যে বুলেটে কারকারের মৃত্যু হয়েছিল, তা আজমল কাসভের বন্দুক থেকে বেরোয়নি। আফজলের ফাঁসির রায়ে লেখা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে জনগণের বিবেককে তুষ্ট করার জন্য তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।মুশরিফের দাবি, কারকারে আইবি-র কথা না মেনে আইন অনুযায়ী মালেগাঁও-কাণ্ডের তদন্ত করেন এবং তাতেই একের পর এক আরএসএসের নেতা-কর্মীদের নাম উঠে আসে। কারকারে তাঁদের গ্রেফতারও করেন। এরই প্রতিশোধ নিতে ২৬/১১-র হামলায় চক্রান্ত করে আরএসএস এবং আইবি কারকারেকে হত্যা করে। ( আনন্দবাজার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের বাংলায় অনুবাদ করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। এবং এধরনের বইয়ের অনুবাদ ও প্রকাশ করে জাতীয় কর্তব্য ও গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন কলেজ স্ট্রিটের অভিজাত বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশন। একজন পাঠক হিসেবে অনুবাদক ও প্রকাশক উভয়কেই জানাই হাজারো কুর্নিশ।
[ কারকারের হত্যাকারী কে? ভারতে সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত চেহারা, এস এম মুসরিফ,( অনুবাদ- সব্যসাচী চক্রবর্তী), বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশন, বর্ণ পরিচয় বুক মল, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা- ৭, ফোন- ৯৮৩০০১২৯৪৭। বইমেলায় স্টল- ২৭৩ ]
COMMENTS