নিবন্ধ: সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায় ও সামাজিক সঙ্কট রাকিবুল ইসলাম সমগামীতা ও পরকীয়া দুটি ভারতীয় সমাজীক প্রেক্ষাপটে ঘৃণার ...
নিবন্ধ:
সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায় ও সামাজিক সঙ্কট
রাকিবুল ইসলাম
সমগামীতা ও পরকীয়া দুটি ভারতীয় সমাজীক প্রেক্ষাপটে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। একসময় ভারতীয় সংবিধানে এই দুটি কাজকেই দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হত।কিন্তু বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ সমগমীতা এবং পরকীয়ার বিরুদ্ধে যে আইন ছিল ওটাকে বর্তমান সময়ের নিরিখে একটা অমানবিক আইন বলে গণ্য করে। এর পাশাপাশি ওগুলো আর শাস্তি যোগ্য অপরাধ নয়, বরং ওগুলোকে বৈধতা দেওয়া হল। পরকীয়ার ব্যাপারে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে 'স্ত্রীরা কারও সম্পদ নয়'। তাছাড়া আইনগুলো 'ব্রিটিশ আমলের'। পুরোনো বলেই খারাপ, বর্জনীয় সুপ্রিমকোর্টের মাননীয় বিচারপতিগণের এই ধরনের মানসিকতা সত্যিই ভাবনার।
এবার কতকগুলো বিষয় আমরা একটু লক্ষ্য করি- সমগামীতা এবং পরকীয়া কী অতীতে ছিল, না পৃথিবীতে এটা আসতে পারে বলে আইনটা হয়ে ছিল? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন সাহিত্য বা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থগুলো যদি আমরা দেখি বিশেষ করে ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং ইসলাম এই তিন প্রধান ধর্মে এই দুটি বিষয়কে পাপের কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিন প্রধান ধর্মে নবী লুত এর কাহিনী তুলে ধরে পঙ্কিল সমাজের দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। এই সমাজ যখন পাপে পূর্ণ হয় তখন বিপথগামী মানুষেরা সমগামীতার মত প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌন চাহিদা পূরণের জন্যে চেষ্টা করে। এর সঙ্গে সামাজিক অধিকার পেতে আইনী বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমতার শীর্ষে যারা থাকে তারা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসী না হওয়ায় প্রকৃতি বিরুদ্ধ রায়কে বৈধতা দিয়ে এসেছে। কিন্তু মাহান প্রভু তার বার্তাবাহক পাঠিয়ে মানবজাতিকে সাবধান করে দিয়েছেন এবং তিনি যে নির্দেশনামা দিয়েছেন সেখানে এগুলোকে বড়ো পাপের কাজ বলে উল্লেখ করে শাস্তির বিধান দিয়েছেন। ফলে একটা সময় ধার্মিক মানুষের হাতে যখন ক্ষমতা আসে তখন স্রষ্টার বিধানের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে এই কাজ গুলোকে অসামাজিক বলে আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা করে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখে।
নবী মুহাম্মদ (সঃ) আগমনের পূর্বের যুগটি একটা 'তীব্র অন্ধকারময়' যুগ বলে অভিহিত হয়েছে। আরব ভূখণ্ডে সেখানে কন্যা সন্তান জন্মানোকে অপমানজনক বলে মনে করা হত। কন্যা সন্তানের পিতা হওয়াকে এতটা অপমান কর মনে করা হত যে এক স্বামীকে লুকিয়ে তার স্ত্রী তার কন্যাকে বাপের বাড়িতে লালন পালন করে যখন ছয়-সাত বছর বয়সে বাড়িতে এনে ফুটফুটে গোলাপের মত মেয়টির পরিচয় স্বামীকে দিল, তখন সেই পিতা তার মেয়েটিকে একটা গর্ত খুড়ে তাতে মেয়েটিকে ফেলে পাথর দিয়ে মাথাটা থেতলে দিল। এই অমানবিক ঘটনার বর্ণনা নিজ মুখে দিয়েছেন পরবর্তীতে আলোর পথ প্রাপ্ত পিতা আর অনুতপ্ত হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন করেছিলেন এই পিতা? এই প্রশ্ন তৎকালীন ইতিহাস ঘাটলে বেরিয়ে আসবে। আজ নারী স্বাধীনতার নামে যে লাগামহীন জীবন-জাপানের দিকে মায়ের জাতিকে ঠেলে দেওয়া হল তাতে তাদের জীবন কতটা সুরক্ষিত হবে? সরকারী সেক্টর, কর্পোরেট হাউস বিভিন্ন কম্পানিতে যেমন পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে চলেছে নারীরা তেমনি বেড়ে চলেছে যৌন হয়রানি। কখনও প্রোমোশন বা বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্যে পুরুষদের দিতে হয় অর্থ আর নারীদের শরীর। এটাকে অনেকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করছে আর কেউ কেউ বিবেকের দংশনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এখন পরকীয়া বৈধতা পাওয়ায় মহিলাদের যৌন হয়রানি কি কমবে? না বরং বাড়বে কারণ কোনটা স্বেচ্ছায় আর কোনটা জবরদস্তি সেটা প্রমান করার মামলা বছরের পর বছর চলবে। এতে অনেকে ক্ষমতা আর অর্থের জোরে আরও বেশি লম্পট হয়ে উঠবে। এই রায় একদিকে কিছু সংখ্যক নারীদের এতটা উশৃঙ্খল করে দেবে যে অনেক সংসার ধ্বংস হয়ে যাবে, আবার অন্যদিকে কিছু পুরুষকে এত বেশী উশৃঙ্খল করে দেবে যে শতশত পরিবার ও সমাজ শেষ হয়ে যাবে। মায়ের জাতিকে এতটাই পণ্য ভাবা হবে, যেখানে হয়ত আবারও অনেক পিতা কন্যা সন্তান জন্মানোকে অপরাধ বলে মনে করবে।
পৃথিবীতে যুগে যুগে স্রষ্টা প্রেরিত দূত যারা এসেছিলেন তারা মানবতার কথা এবং একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজের কথা বলে গেছেন। তাদের দেখানো পথেই তৈরী হয়েছিল বিভিন্ন সামাজিক আইন। একাবিংশ শতাব্দীর সভ্য জাতির বড়াই করা বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী আইনবিদ রমরমিয়ে চলা পর্ণোগ্রাফি গুলো বন্ধ করার আইন না করে আইন করছে কিভাবে সামাজিক জীবন, পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা যায় সেই চেষ্টা! নারীদের প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে যে আইন নারী স্বাধীনতার নামে আনা হয়েছে তা একদিন এই দেশ তথা সমাজকে দ্রুত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
এবার কতকগুলো বিষয় আমরা একটু লক্ষ্য করি- সমগামীতা এবং পরকীয়া কী অতীতে ছিল, না পৃথিবীতে এটা আসতে পারে বলে আইনটা হয়ে ছিল? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন সাহিত্য বা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থগুলো যদি আমরা দেখি বিশেষ করে ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং ইসলাম এই তিন প্রধান ধর্মে এই দুটি বিষয়কে পাপের কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিন প্রধান ধর্মে নবী লুত এর কাহিনী তুলে ধরে পঙ্কিল সমাজের দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। এই সমাজ যখন পাপে পূর্ণ হয় তখন বিপথগামী মানুষেরা সমগামীতার মত প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌন চাহিদা পূরণের জন্যে চেষ্টা করে। এর সঙ্গে সামাজিক অধিকার পেতে আইনী বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমতার শীর্ষে যারা থাকে তারা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসী না হওয়ায় প্রকৃতি বিরুদ্ধ রায়কে বৈধতা দিয়ে এসেছে। কিন্তু মাহান প্রভু তার বার্তাবাহক পাঠিয়ে মানবজাতিকে সাবধান করে দিয়েছেন এবং তিনি যে নির্দেশনামা দিয়েছেন সেখানে এগুলোকে বড়ো পাপের কাজ বলে উল্লেখ করে শাস্তির বিধান দিয়েছেন। ফলে একটা সময় ধার্মিক মানুষের হাতে যখন ক্ষমতা আসে তখন স্রষ্টার বিধানের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে এই কাজ গুলোকে অসামাজিক বলে আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা করে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখে।
নবী মুহাম্মদ (সঃ) আগমনের পূর্বের যুগটি একটা 'তীব্র অন্ধকারময়' যুগ বলে অভিহিত হয়েছে। আরব ভূখণ্ডে সেখানে কন্যা সন্তান জন্মানোকে অপমানজনক বলে মনে করা হত। কন্যা সন্তানের পিতা হওয়াকে এতটা অপমান কর মনে করা হত যে এক স্বামীকে লুকিয়ে তার স্ত্রী তার কন্যাকে বাপের বাড়িতে লালন পালন করে যখন ছয়-সাত বছর বয়সে বাড়িতে এনে ফুটফুটে গোলাপের মত মেয়টির পরিচয় স্বামীকে দিল, তখন সেই পিতা তার মেয়েটিকে একটা গর্ত খুড়ে তাতে মেয়েটিকে ফেলে পাথর দিয়ে মাথাটা থেতলে দিল। এই অমানবিক ঘটনার বর্ণনা নিজ মুখে দিয়েছেন পরবর্তীতে আলোর পথ প্রাপ্ত পিতা আর অনুতপ্ত হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন করেছিলেন এই পিতা? এই প্রশ্ন তৎকালীন ইতিহাস ঘাটলে বেরিয়ে আসবে। আজ নারী স্বাধীনতার নামে যে লাগামহীন জীবন-জাপানের দিকে মায়ের জাতিকে ঠেলে দেওয়া হল তাতে তাদের জীবন কতটা সুরক্ষিত হবে? সরকারী সেক্টর, কর্পোরেট হাউস বিভিন্ন কম্পানিতে যেমন পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে চলেছে নারীরা তেমনি বেড়ে চলেছে যৌন হয়রানি। কখনও প্রোমোশন বা বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্যে পুরুষদের দিতে হয় অর্থ আর নারীদের শরীর। এটাকে অনেকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করছে আর কেউ কেউ বিবেকের দংশনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এখন পরকীয়া বৈধতা পাওয়ায় মহিলাদের যৌন হয়রানি কি কমবে? না বরং বাড়বে কারণ কোনটা স্বেচ্ছায় আর কোনটা জবরদস্তি সেটা প্রমান করার মামলা বছরের পর বছর চলবে। এতে অনেকে ক্ষমতা আর অর্থের জোরে আরও বেশি লম্পট হয়ে উঠবে। এই রায় একদিকে কিছু সংখ্যক নারীদের এতটা উশৃঙ্খল করে দেবে যে অনেক সংসার ধ্বংস হয়ে যাবে, আবার অন্যদিকে কিছু পুরুষকে এত বেশী উশৃঙ্খল করে দেবে যে শতশত পরিবার ও সমাজ শেষ হয়ে যাবে। মায়ের জাতিকে এতটাই পণ্য ভাবা হবে, যেখানে হয়ত আবারও অনেক পিতা কন্যা সন্তান জন্মানোকে অপরাধ বলে মনে করবে।
পৃথিবীতে যুগে যুগে স্রষ্টা প্রেরিত দূত যারা এসেছিলেন তারা মানবতার কথা এবং একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজের কথা বলে গেছেন। তাদের দেখানো পথেই তৈরী হয়েছিল বিভিন্ন সামাজিক আইন। একাবিংশ শতাব্দীর সভ্য জাতির বড়াই করা বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী আইনবিদ রমরমিয়ে চলা পর্ণোগ্রাফি গুলো বন্ধ করার আইন না করে আইন করছে কিভাবে সামাজিক জীবন, পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা যায় সেই চেষ্টা! নারীদের প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে যে আইন নারী স্বাধীনতার নামে আনা হয়েছে তা একদিন এই দেশ তথা সমাজকে দ্রুত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
COMMENTS